-25%
থিয়েটার পত্রিকার চল্লিশ বছর
Original price was: 400.00৳ .300.00৳ Current price is: 300.00৳ .
মুক্তিযুদ্ধে অনন্য বিজয়ের পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশে নতুনভাবে সবকিছু গড়েপিটে নেয়ার তাগিদ থেকে সমাজে যখন দেখা দিচ্ছিল নানা উদযোগ সেই প্রতিকূল ও স্বাপ্নিক সময়ে, ১৯৭২ সালের নভেম্বরে রামেন্দু মজুমদারের সম্পাদনায় প্রকাশ পেয়েছিল নাট্যত্রৈমাসিক 'থিয়েটার'। প্রতিশ্রুতি অনেক ব্যক্ত হয়েছিল সম্পাদক-প্রকাশকের তরফ থেকে, বলা বাহুল্য সম্পাদকই এর প্রকাশক, কেবল প্রকাশক নন, পত্রিকার কাজ-অকাজ সবকিছুতেই ঘটে তাঁর নিষ্ঠাবান অদম্য অংশীদারিত্ব। স্বভাবে তিনি অন্তর্মুখী, বড় দায়িত্ব যে কাঁধে নিয়েছেন সেই ভাব কখনো প্রকাশ পায় না, কিন্তু কাজ করে চলেন নিড়তে নিরলসভাবে, প্রায় যেন লোকচক্ষুর আড়ালে। প্রথম সংখ্যা ছিল মুনীর চৌধুরী স্মারক সংখ্যা', স্বাধীনতার প্রাগ-মুহূর্তে ঘাতক আল-বদর বাহিনীর হাতে প্রাণ সংহার ঘটে বাংলাদেশের নাটকের এই পুরোধা ব্যক্তিত্বের। প্রায় দুইশ' পৃষ্ঠার সুপরিকল্পিত এই সংকলন চমকে দিয়েছিল সবাইকে, সেই সঙ্গে পত্রিকার আয়ুষ্কাল নিয়েও সন্দিহান হয়েছিলেন অনেকে, নাটকবিহীন সমাজে এমন পরিপাটি নাট্যপত্রিকার অস্তিত্ব কেই-বা নিশ্চিত করতে পারে। সেই অসাধারণ সূচনার পর, বিস্ময়করভাবে 'থিয়েটার' পত্রিকার অভিযাত্রার আর বিরাম ঘটে নি। দেখতে দেখতে ৪০ বছর পার করেছে থিয়েটার, পতন-অভ্যুদয়-বন্ধুর পথযাত্রার অনন্য উদাহরণ তৈরি হয়েছে রামেন্দু মজুমদারের সম্পাদনা ও পৌরোহিত্যে। 'থিয়েটার'-এর চার দশকের নিরবচ্ছিন্ন প্রকাশনার ব্যাপ্তি, গভীরতা, সৃজনমুখরতা এবং শিল্প ও সমাজের দায়মোচনে ভূমিকা পালন নিয়ে অনেক ধরনের পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়, তবে সর্বাগ্রে প্রয়োজন ছিল এই দীর্ঘ অভিযাত্রার তথ্যমূলক ভিত্তি দাঁড় করানো। কাজটি শ্রমসাপেক্ষ, দাবি করে একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও সময়, বিনিময়ে প্রাপ্তির কোনো সম্ভাবনা নেই, আছে কেবল সমাজের এবং শিল্পের প্রয়োজন মেটানোর আনন্দ। সেই আনন্দকর্মে ব্রতী গবেষক পশ্চিমবাংলার প্রভাতকুমার দাস অশেষ পরিশ্রমে জরুরি এই কাজ সম্পাদন করেছেন, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তৈরি করেছেন 'থিয়েটার' পত্রিকার ৪০ বছরের কালপঞ্জি, নির্ঘণ্ট ও তথ্যভাণ্ডার। পত্রিকার তো নয়, এ-আসলে বাংলাদেশের নাট্যচর্চা ও নাটকের প্রামাণিক কোষগ্রন্থ।
-25%
থিয়েটার পত্রিকার চল্লিশ বছর
Original price was: 400.00৳ .300.00৳ Current price is: 300.00৳ .
মুক্তিযুদ্ধে অনন্য বিজয়ের পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশে নতুনভাবে সবকিছু গড়েপিটে নেয়ার তাগিদ থেকে সমাজে যখন দেখা দিচ্ছিল নানা উদযোগ সেই প্রতিকূল ও স্বাপ্নিক সময়ে, ১৯৭২ সালের নভেম্বরে রামেন্দু মজুমদারের সম্পাদনায় প্রকাশ পেয়েছিল নাট্যত্রৈমাসিক 'থিয়েটার'। প্রতিশ্রুতি অনেক ব্যক্ত হয়েছিল সম্পাদক-প্রকাশকের তরফ থেকে, বলা বাহুল্য সম্পাদকই এর প্রকাশক, কেবল প্রকাশক নন, পত্রিকার কাজ-অকাজ সবকিছুতেই ঘটে তাঁর নিষ্ঠাবান অদম্য অংশীদারিত্ব। স্বভাবে তিনি অন্তর্মুখী, বড় দায়িত্ব যে কাঁধে নিয়েছেন সেই ভাব কখনো প্রকাশ পায় না, কিন্তু কাজ করে চলেন নিড়তে নিরলসভাবে, প্রায় যেন লোকচক্ষুর আড়ালে। প্রথম সংখ্যা ছিল মুনীর চৌধুরী স্মারক সংখ্যা', স্বাধীনতার প্রাগ-মুহূর্তে ঘাতক আল-বদর বাহিনীর হাতে প্রাণ সংহার ঘটে বাংলাদেশের নাটকের এই পুরোধা ব্যক্তিত্বের। প্রায় দুইশ' পৃষ্ঠার সুপরিকল্পিত এই সংকলন চমকে দিয়েছিল সবাইকে, সেই সঙ্গে পত্রিকার আয়ুষ্কাল নিয়েও সন্দিহান হয়েছিলেন অনেকে, নাটকবিহীন সমাজে এমন পরিপাটি নাট্যপত্রিকার অস্তিত্ব কেই-বা নিশ্চিত করতে পারে। সেই অসাধারণ সূচনার পর, বিস্ময়করভাবে 'থিয়েটার' পত্রিকার অভিযাত্রার আর বিরাম ঘটে নি। দেখতে দেখতে ৪০ বছর পার করেছে থিয়েটার, পতন-অভ্যুদয়-বন্ধুর পথযাত্রার অনন্য উদাহরণ তৈরি হয়েছে রামেন্দু মজুমদারের সম্পাদনা ও পৌরোহিত্যে। 'থিয়েটার'-এর চার দশকের নিরবচ্ছিন্ন প্রকাশনার ব্যাপ্তি, গভীরতা, সৃজনমুখরতা এবং শিল্প ও সমাজের দায়মোচনে ভূমিকা পালন নিয়ে অনেক ধরনের পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়, তবে সর্বাগ্রে প্রয়োজন ছিল এই দীর্ঘ অভিযাত্রার তথ্যমূলক ভিত্তি দাঁড় করানো। কাজটি শ্রমসাপেক্ষ, দাবি করে একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও সময়, বিনিময়ে প্রাপ্তির কোনো সম্ভাবনা নেই, আছে কেবল সমাজের এবং শিল্পের প্রয়োজন মেটানোর আনন্দ। সেই আনন্দকর্মে ব্রতী গবেষক পশ্চিমবাংলার প্রভাতকুমার দাস অশেষ পরিশ্রমে জরুরি এই কাজ সম্পাদন করেছেন, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তৈরি করেছেন 'থিয়েটার' পত্রিকার ৪০ বছরের কালপঞ্জি, নির্ঘণ্ট ও তথ্যভাণ্ডার। পত্রিকার তো নয়, এ-আসলে বাংলাদেশের নাট্যচর্চা ও নাটকের প্রামাণিক কোষগ্রন্থ।