‘আগরতলা মামলা’, শেখ মুজিব ও বাংলার বিদ্রোহ
300.00৳
–
ষাটের দশকের শেষের দিকে পাকিস্তানি সামরিক শাসকগোষ্ঠী দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা শেখ মুজিবসহ সামরিক বাহিনীর সদস্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জড়িয়ে যে মামলা দাঁড় করিয়েছিল, তা’ অভিহিত হয়েছিল ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ নামে। মামলার মূল লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রদ্রোহিতার ধুয়া তুলে শেখ মুজিবকে ফাঁসির কাঠে ঝুলিয়ে বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের সংগ্রাম চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়া। কিন্তু অচিরেই এই মামলা বুমেরাং হয়ে আঘাত হানে পাকিস্তানি সামরিক শাসকদেরকেই। কুর্মিটোলা সেনা ছাউনির সুকঠোর প্রহরায় মামলার বিচারানুষ্ঠানে সওয়াল-জবাবের প্রথম দিন থেকেই শেখ মুজিবুর রহমানের বীরদর্পী ভূমিকা, আইনজীবীদের সুতীক্ষ্ণ জেরা এবং সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিবরণ গোটা বাঙালি জাতিকে উদ্দীপ্ত করে অনাপোস স্বাধিকার প্রেরণায়।
মামলার অন্য আর সব সংবাদ-ভাষ্যের ভেতরে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল দৈনিক ‘আজাদ’ পত্রিকার সেই সময়কার চিফ রিপোর্টার ফয়েজ আহমদ-এর লেখা ‘ট্রাইব্যুনাল কক্ষে’। এই কলাম তিনি লিখেছিলেন যাবতীয় আইনি গণ্ডিবদ্ধতা ও শাসকদের শ্যেনদৃষ্টি এড়িয়ে এমন এক ভাষাভঙ্গি যোগে, এমন আভাষ ও ইঙ্গিতের আশ্রয়ে যার ভেতর দিয়ে মামলার প্রকৃত উদ্দেশ্য তির্যক আলোকচ্ছটায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে প্রতিদিন, গ্রন্থের যা সারবান অংশ।
দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর বর্তমানের প্রেক্ষাপটে মামলার পুনর্মূল্যায়ন করতে গিয়ে স্বৈরশাসনামলে যেসব কথা স্পষ্টভাবে উচ্চারণ সম্ভব ছিল না, তার সত্যরূপ আবার উদ্ঘাটন করেছেন ফয়েজ আহমদ। বাঙালির বিদ্রোহ-প্রচেষ্টার তথ্য প্রমাণাদিসহ প্রণীত গ্রন্থ আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমি নির্মাণের ধারাবাহিকতার এক নতুন পরিচয় মেলে ধরেছে, যা দাবি করে ইতিহাসের অনিবার্য” পুনর্লিখন। ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ এই গ্রন্থ স্বয়ং এক বিস্ফোরণ।
Reviews
There are no reviews yet.