বনবনানী
এই বিশাল পৃথিবী আমাদের আবাসভূমি। কিন্তু এর কতটুকু আমরা জানি, কতটুকু সময়ই বা দেই একে জানতে? দুনিয়া যেমন বিশাল তেমনি বিস্ময়কর বৈচিত্র্যে ভরপুর। প্রকৃতির ভাণ্ডারে আমাদের জন্যে সঞ্চিত আছে বিভিন্ন সুন্দর ও মহৎ অভিজ্ঞতা। দরকার কেবল বিশ্বপ্রকৃতির পাঠশালার ছাত্র হয়ে বেরিয়ে পড়া।
দুর্ধর্ষ সব মেরু অভিযাত্রীদের নাম আমরা শুনি, কিন্তু মেরুর অপার বিস্ময় জেনে শিহরিত হয়েছি কি? সাভান্নার নাম যদিও জানি ততটা জানি না আর সব তৃণভূমি স্তেপ বা তুন্দ্রার কথা। সমুদ্রপথে বিভিন্ন অভিযাত্রী ও বাণিজ্য পোতের যাতায়াত জানা থাকলেও সমুদ্রতলের অপার রহস্যের কতটুকুই-বা জানি। নিজেদের নদীগুলো কিছুটা হয়তো চিনি, তবে অচেনা রয়ে যায় বিশ্বের আরো কত নদী ও নদীতীরের মানুষের জীবন। একই কথা বলা যায় বনবনানী সম্পর্কেও, বন ও সবুজায়ন আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য,তার কি দশা করেছি আমরা সে খেয়াল কি রাখি? ‘প্রকৃতির পাঠ গ্রন্থমালা’য় মিলবে মেরু, মরু, তৃণভূমি, নদী, সমুদ্র্র ও বনবনানীর এমনি নানা পরিচয়।
বনবনানী
এই বিশাল পৃথিবী আমাদের আবাসভূমি। কিন্তু এর কতটুকু আমরা জানি, কতটুকু সময়ই বা দেই একে জানতে? দুনিয়া যেমন বিশাল তেমনি বিস্ময়কর বৈচিত্র্যে ভরপুর। প্রকৃতির ভাণ্ডারে আমাদের জন্যে সঞ্চিত আছে বিভিন্ন সুন্দর ও মহৎ অভিজ্ঞতা। দরকার কেবল বিশ্বপ্রকৃতির পাঠশালার ছাত্র হয়ে বেরিয়ে পড়া।
দুর্ধর্ষ সব মেরু অভিযাত্রীদের নাম আমরা শুনি, কিন্তু মেরুর অপার বিস্ময় জেনে শিহরিত হয়েছি কি? সাভান্নার নাম যদিও জানি ততটা জানি না আর সব তৃণভূমি স্তেপ বা তুন্দ্রার কথা। সমুদ্রপথে বিভিন্ন অভিযাত্রী ও বাণিজ্য পোতের যাতায়াত জানা থাকলেও সমুদ্রতলের অপার রহস্যের কতটুকুই-বা জানি। নিজেদের নদীগুলো কিছুটা হয়তো চিনি, তবে অচেনা রয়ে যায় বিশ্বের আরো কত নদী ও নদীতীরের মানুষের জীবন। একই কথা বলা যায় বনবনানী সম্পর্কেও, বন ও সবুজায়ন আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য,তার কি দশা করেছি আমরা সে খেয়াল কি রাখি? ‘প্রকৃতির পাঠ গ্রন্থমালা’য় মিলবে মেরু, মরু, তৃণভূমি, নদী, সমুদ্র্র ও বনবনানীর এমনি নানা পরিচয়।
বনের রাজা টারজান
বনের রাজা টারজান
বনের স্মৃতি
বনের স্মৃতি
বন্দীশালা পাকিস্তান
সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেম পেশাগত জীবনে নানা উচ্চপদে যেমন কাজ করেছেন, তেমনি সান্নিধ্যে এসেছেন দেশ- বিদেশের বহু গুণীজনের। প্রেসিডেন্সি কলেজের শিক্ষাজীবন শেষে প্রথমে কলকাতায়, পরে ঢাকায় সাংবাদিকতা করেন অনেককাল। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্য বিভাগীয় দায়িত্বও পালন করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। ছিলেন রেঙ্গুন ও মস্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, কিছুকালের জন্য তথ্যমন্ত্রীও। তবে এসবের চাইতেও বড় কথা তাঁর পঠন- পাঠনের ব্যাপ্তি, প্রখর শিল্পবোধ এবং ইংরেজি-বাংলা উভয় ভাষাতেই স্বচ্ছ গদ্যরচনায় অনুপম সিদ্ধি। বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য পোষণের কারণে পাকিস্তানে চাকরিজীবনে শুধু নিগৃহীতই হন নি, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর আরো অনেক বাঙালির সঙ্গে বন্দী হয়েছিলেন কাদেরাবাদ ও ওয়ার্সাক ক্যাম্পে। সেই ক্যাম্পজীবনে বন্দীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রতি দাস্যভাবাপন্ন ব্যক্তিবর্গেরও অভাব ছিল না। স্বাধীন দেশের দুর্ভাগ্য, তাদের অনেকেই প্রত্যাগমনের পর রাষ্ট্রিক ও সামরিক নীতি-নির্ধারক বিভিন্ন উচ্চপদে অভিষিক্ত হয়েছেন। পাকিস্তানের বন্দীশালায় আটকাবস্থায় লেখা এই রোজনামচার প্রকাশ বিলম্বিত হলেও এখনো অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায় নি মোটেই। আমাদের বর্তমান সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতা সে কথার জানান দিচ্ছে নানাভাবে। সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেমের এই গ্রন্থ তাই মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবৃত্তের অতীতকালীন এক অধ্যায়কে যেমন মেলে ধরেছে, তেমনি তা বহন করছে সমকালীন তাৎপর্য।
বন্দীশালা পাকিস্তান
সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেম পেশাগত জীবনে নানা উচ্চপদে যেমন কাজ করেছেন, তেমনি সান্নিধ্যে এসেছেন দেশ- বিদেশের বহু গুণীজনের। প্রেসিডেন্সি কলেজের শিক্ষাজীবন শেষে প্রথমে কলকাতায়, পরে ঢাকায় সাংবাদিকতা করেন অনেককাল। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্য বিভাগীয় দায়িত্বও পালন করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। ছিলেন রেঙ্গুন ও মস্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, কিছুকালের জন্য তথ্যমন্ত্রীও। তবে এসবের চাইতেও বড় কথা তাঁর পঠন- পাঠনের ব্যাপ্তি, প্রখর শিল্পবোধ এবং ইংরেজি-বাংলা উভয় ভাষাতেই স্বচ্ছ গদ্যরচনায় অনুপম সিদ্ধি। বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য পোষণের কারণে পাকিস্তানে চাকরিজীবনে শুধু নিগৃহীতই হন নি, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর আরো অনেক বাঙালির সঙ্গে বন্দী হয়েছিলেন কাদেরাবাদ ও ওয়ার্সাক ক্যাম্পে। সেই ক্যাম্পজীবনে বন্দীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রতি দাস্যভাবাপন্ন ব্যক্তিবর্গেরও অভাব ছিল না। স্বাধীন দেশের দুর্ভাগ্য, তাদের অনেকেই প্রত্যাগমনের পর রাষ্ট্রিক ও সামরিক নীতি-নির্ধারক বিভিন্ন উচ্চপদে অভিষিক্ত হয়েছেন। পাকিস্তানের বন্দীশালায় আটকাবস্থায় লেখা এই রোজনামচার প্রকাশ বিলম্বিত হলেও এখনো অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায় নি মোটেই। আমাদের বর্তমান সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতা সে কথার জানান দিচ্ছে নানাভাবে। সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেমের এই গ্রন্থ তাই মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবৃত্তের অতীতকালীন এক অধ্যায়কে যেমন মেলে ধরেছে, তেমনি তা বহন করছে সমকালীন তাৎপর্য।