বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নানা প্রসঙ্গ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নানা প্রসঙ্গ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুসলিম বিশ্ব
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুসলিম বিশ্ব
বাংলাদেশের আরেক নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
বাংলাদেশের আরেক নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
বাংলাদেশ: জাতিরাষ্ট্রের উদ্ভব
বাংলাদেশ: জাতিরাষ্ট্রের উদ্ভব
বাংলা আমার, বাংলাদেশ
টঙ্গিবাড়ি সোনারং বজ্রযোগিনী। মেদিনীমণ্ডল কদুরখিল লাম্বুরহাট।
কীর্তিনাশা পদ্মা পাহাড়ী সোমেশ্বরী পরগনা সুসং। আলী হোসেন গৌরাঙ্গ সুকুরবানু রাধাশ্যাম রমেশ শীল। দীপঙ্করের দেশ গো, জল-বেহুলার দেশ।
এর মাটির ভাঁজে ভাঁজে অশ্রু ঘাম আর সংগ্রামের চিহ্ন। চোখ থাকলেই দেখা যায়, নইলে নয়। না, কোনোটাই থামে নি : এখনো সংগ্রাম এখানো নোনা ঘাম এখনো চোখের জল। দেখতে চাইলেই দেখা যায় নইলে নয়।
বরণ্যে কবি সুভাস মুখোপাধ্যায় দেখেছেন তাঁর কবির চোখ দিয়ে, তাঁর স্বপ্নভুক হৃদয়ের শতদল মেলে। বাহান্নর রাষ্ট্রভাষা, একাত্তরের পঁচিশে মার্চ। অনাদি দিনের দুঃখ বুকে নিয়ে অনাগত ভবিষ্যতের আশায় বুক বেঁধে হাটে মাঠে গঞ্জেগেরামে এই চারণ-কবি ঘুরে বেড়িয়েছেন।
কে আর বলতে পারে তিনি ছাড়া?
বাতাসে সব দুঃস্বপ্ন
আকাশে যাক উড়ে-
শুয়ে শুয়ে দিন গুনছে
পারুল বোন আমার ।
বাংলা আমার, বাংলাদেশ
টঙ্গিবাড়ি সোনারং বজ্রযোগিনী। মেদিনীমণ্ডল কদুরখিল লাম্বুরহাট।
কীর্তিনাশা পদ্মা পাহাড়ী সোমেশ্বরী পরগনা সুসং। আলী হোসেন গৌরাঙ্গ সুকুরবানু রাধাশ্যাম রমেশ শীল। দীপঙ্করের দেশ গো, জল-বেহুলার দেশ।
এর মাটির ভাঁজে ভাঁজে অশ্রু ঘাম আর সংগ্রামের চিহ্ন। চোখ থাকলেই দেখা যায়, নইলে নয়। না, কোনোটাই থামে নি : এখনো সংগ্রাম এখানো নোনা ঘাম এখনো চোখের জল। দেখতে চাইলেই দেখা যায় নইলে নয়।
বরণ্যে কবি সুভাস মুখোপাধ্যায় দেখেছেন তাঁর কবির চোখ দিয়ে, তাঁর স্বপ্নভুক হৃদয়ের শতদল মেলে। বাহান্নর রাষ্ট্রভাষা, একাত্তরের পঁচিশে মার্চ। অনাদি দিনের দুঃখ বুকে নিয়ে অনাগত ভবিষ্যতের আশায় বুক বেঁধে হাটে মাঠে গঞ্জেগেরামে এই চারণ-কবি ঘুরে বেড়িয়েছেন।
কে আর বলতে পারে তিনি ছাড়া?
বাতাসে সব দুঃস্বপ্ন
আকাশে যাক উড়ে-
শুয়ে শুয়ে দিন গুনছে
পারুল বোন আমার ।
বাঙালির সাধনা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
বাঙালির সাধনা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
বন্দীশালা পাকিস্তান
সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেম পেশাগত জীবনে নানা উচ্চপদে যেমন কাজ করেছেন, তেমনি সান্নিধ্যে এসেছেন দেশ- বিদেশের বহু গুণীজনের। প্রেসিডেন্সি কলেজের শিক্ষাজীবন শেষে প্রথমে কলকাতায়, পরে ঢাকায় সাংবাদিকতা করেন অনেককাল। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্য বিভাগীয় দায়িত্বও পালন করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। ছিলেন রেঙ্গুন ও মস্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, কিছুকালের জন্য তথ্যমন্ত্রীও। তবে এসবের চাইতেও বড় কথা তাঁর পঠন- পাঠনের ব্যাপ্তি, প্রখর শিল্পবোধ এবং ইংরেজি-বাংলা উভয় ভাষাতেই স্বচ্ছ গদ্যরচনায় অনুপম সিদ্ধি। বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য পোষণের কারণে পাকিস্তানে চাকরিজীবনে শুধু নিগৃহীতই হন নি, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর আরো অনেক বাঙালির সঙ্গে বন্দী হয়েছিলেন কাদেরাবাদ ও ওয়ার্সাক ক্যাম্পে। সেই ক্যাম্পজীবনে বন্দীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রতি দাস্যভাবাপন্ন ব্যক্তিবর্গেরও অভাব ছিল না। স্বাধীন দেশের দুর্ভাগ্য, তাদের অনেকেই প্রত্যাগমনের পর রাষ্ট্রিক ও সামরিক নীতি-নির্ধারক বিভিন্ন উচ্চপদে অভিষিক্ত হয়েছেন। পাকিস্তানের বন্দীশালায় আটকাবস্থায় লেখা এই রোজনামচার প্রকাশ বিলম্বিত হলেও এখনো অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায় নি মোটেই। আমাদের বর্তমান সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতা সে কথার জানান দিচ্ছে নানাভাবে। সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেমের এই গ্রন্থ তাই মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবৃত্তের অতীতকালীন এক অধ্যায়কে যেমন মেলে ধরেছে, তেমনি তা বহন করছে সমকালীন তাৎপর্য।
বন্দীশালা পাকিস্তান
সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেম পেশাগত জীবনে নানা উচ্চপদে যেমন কাজ করেছেন, তেমনি সান্নিধ্যে এসেছেন দেশ- বিদেশের বহু গুণীজনের। প্রেসিডেন্সি কলেজের শিক্ষাজীবন শেষে প্রথমে কলকাতায়, পরে ঢাকায় সাংবাদিকতা করেন অনেককাল। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্য বিভাগীয় দায়িত্বও পালন করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। ছিলেন রেঙ্গুন ও মস্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, কিছুকালের জন্য তথ্যমন্ত্রীও। তবে এসবের চাইতেও বড় কথা তাঁর পঠন- পাঠনের ব্যাপ্তি, প্রখর শিল্পবোধ এবং ইংরেজি-বাংলা উভয় ভাষাতেই স্বচ্ছ গদ্যরচনায় অনুপম সিদ্ধি। বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য পোষণের কারণে পাকিস্তানে চাকরিজীবনে শুধু নিগৃহীতই হন নি, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর আরো অনেক বাঙালির সঙ্গে বন্দী হয়েছিলেন কাদেরাবাদ ও ওয়ার্সাক ক্যাম্পে। সেই ক্যাম্পজীবনে বন্দীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রতি দাস্যভাবাপন্ন ব্যক্তিবর্গেরও অভাব ছিল না। স্বাধীন দেশের দুর্ভাগ্য, তাদের অনেকেই প্রত্যাগমনের পর রাষ্ট্রিক ও সামরিক নীতি-নির্ধারক বিভিন্ন উচ্চপদে অভিষিক্ত হয়েছেন। পাকিস্তানের বন্দীশালায় আটকাবস্থায় লেখা এই রোজনামচার প্রকাশ বিলম্বিত হলেও এখনো অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায় নি মোটেই। আমাদের বর্তমান সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতা সে কথার জানান দিচ্ছে নানাভাবে। সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেমের এই গ্রন্থ তাই মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবৃত্তের অতীতকালীন এক অধ্যায়কে যেমন মেলে ধরেছে, তেমনি তা বহন করছে সমকালীন তাৎপর্য।